Site icon Kitabbhubon

আমাদের ফেসবুক বুস্টিং সেবা সম্পর্কে কিছু কথা

ফেসবুক বুস্টিং কী ?
সহজ ভাষায় বলতে গেলে ফেসবুক বুস্টিং হল, টাকা খরচ করে ফেসবুকে নিজের পেইজ বা পেইজের কোন পোস্টকে প্রচার করা। ফেসবুকের নিউজফিডে অন্যান্য ফেসবুক ইউজারদের বিভিন্ন পোস্টের পাশাপাশি আরোও কিছু পোস্ট দেখতে পাই; যেগুলোর নিচে ছোট করে লেখা থাকে “Sponsored”। সাধারণত এই “Sponsored” লেখা পোস্টগুলোই হলো ফেসবুক এ্যাডস।

ফেসবুক বুস্টিং এর প্রধান দুটি ভাগ

প্রমোট: একটি ভিডিও বা একটি ছবি দিয়ে ফেসবুক পেইজের প্রমোট করা যায়। যার মাধ্যমে আপনার পেইজের লাইক ও ফলোয়ার বাড়বে।
সেল বুস্ট: পেইজের কোন পোস্টকে টার্গেট কাস্টমারের কাছে সেলের উদ্দেশ্যে যে বুস্ট করা হয় তাকে সেল বুস্ট বলা হয়। যেটাতে পোস্টের মধ্যে মেসেজ বাটন যুক্ত থাকে।


ফেইসবুকে সর্বনিন্ম কত টাকা দিয়ে এ্যাড দেয়া যায়?

আমাদের সর্বনিম্ন বাজেট হলো 10 ডলার 5 দিনের জন্য। আপনি চাইলে এ্যাডের বাজেট আপনার ইচ্ছেমতো বাড়াতে পারবেন এবং এ্যাডটি যেকোনো সময় চালাতে পারবেন। দৈনিক 310 টাকার (USD $2) এ্যাড দেয়া সম্ভব যেটি আসলে ফেইসবুকের সর্বনিন্ম দৈনিক বাজেট।

এজেন্সির মাধ্যমে কেন এ্যাড দিবেন?

সর্বোচ্চ সংখ্যক অডিয়েন্সের কাছে আপনার এ্যাডটি সফলভাবে পৌঁছে দেয়ার জন্য যে ধরনের কৌশল জানা থাকা প্রয়োজন সেটা হয়তোবা অধিকাংশ সাধারণ ফেসবুক ইউজারের জানা থাকে না। এর বাইরেও এ্যাডের বিপরীতে ফেসবুককে পেমেন্ট দেয়ার জন্য আন্তর্জাতিক মাস্টার কার্ড/ভিসা কার্ড/পে-পাল এর প্রয়োজন হয়, যেটা হয়তো অনেকের হাতেই থাকে না। তাই এজেন্সির মাধ্যমে এ্যাড দেয়াই সহজ ও নিরাপদ।

অভিজ্ঞতা: এ্যাড এজেন্সিগুলো নানা ধরনের পণ্যের বা সার্ভিস এর হাজারো এ্যাড প্রতিনিয়ত অনলাইনে পাবলিশ করছে, স্বভাবতই তারা সাধারণের থেকে অবশ্যই কিছুটা বেশি অভিজ্ঞ । তারা ফেসবুক কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড, এ্যাড পলিসি , কনভার্শন রেট, প্লেসমেন্ট, লোকেশন সিলেকশন এবং অডিয়েন্স ইন্টারেস্টের বিষয়গুলো মাথায় রেখে এ্যাড বুস্ট করে থাকে।
পেমেন্ট মাধ্যম: ফেইসবুককে পেমেন্ট করা বর্তমানে অনেকটা সহজ হলেও সেটা এখনো সাধারণের নাগালের বাইরে। ব্যাংকের ফরমালিটি সম্পন্ন করতে বেশ সময়ের প্রয়োজন হয়, এছাড়া বাংলাদেশ থেকে পে-পাল এর মাধ্যমে পেমেন্ট করাও সম্ভব নয়। তাই আমরা ফেসবুকের সেলস পার্টনারের প্রিপেইড এড একাউন্ট ব্যবহার করি।

একটি এ্যাড সাধারণত কতবার দেখানো হয়?

একটি এ্যাড ঠিক কতবার দেখানো হবে এর সুনির্দিষ্ট সংখ্যা নেই, এ্যাডের পারফরমেন্স অনুযায়ী এবং ফেইসবুকের নিজস্ব কিছু নিয়ম অনুযায়ী (বাজেট, এ্যাড কোয়ালিটি স্কোর, প্রতিদ্বন্দী এ্যাডের পরিমান ও বাজেট ইত্যাদি) এটি কম বেশী হয়ে থাকে।

নির্দিষ্ট পরিমান টাকা যদি বেশি দিনের জন্য বুস্ট করা হয় তবে কি রিচ বাড়বে?

ধরা যাক একজন ক্লায়েন্টের বাজেট ৫০ ডলার। এই টাকা দিয়ে উনি ৪ দিনের জন্য ফেসবুক বিজ্ঞাপন দিবেন অর্থাৎ পোস্ট বুস্ট করবেন বলে ঠিক করেছেন। এখন ক্লায়েন্ট যদি ভাবেন এ্যাড টা ৪ দিনের জন্য না দিয়ে ৮ দিনের জন্য দিবেন, কিন্তু বাজেট ঐ ৫০ ডালারই। এমন পরিস্থিতিতে কি রিচ (ক্লিক/লাইক) কিছুটা বেশি হবার সম্ভাবনা আছে?

ইলেকট্রনিক মিডিয়া বা প্রিন্ট মিডিয়াতে যেমন একটি বিজ্ঞাপন যত বেশি দিনের জন্য প্রচার হবে সেটার রিচ ও এনগেজমেন্ট ততটা বেশি হবে, ফেসবুকের বিজ্ঞাপণ বা বুস্টিং ঠিক সেভাবে কাজ করে না! আপনার বাজেট যেমন হবে সে অনুযায়ী এ্যাড দেখানো হবে। বাজেট একই রেখে দিনের সংখ্যা বাড়ালে যেটা হবে, প্রতিদিনের দেখানোর হারটা কমে আসবে। অর্থাৎ ৫০ ডলার ৪ দিনের জন্য বুস্ট করলে যদি ৩,০০০ ক্লিক আসে, তাহলে ঐ একই পরিমান টাকা ৮ দিনের জন্য বুস্ট করেলও এনগেজমেন্ট অর্থাৎ ক্লিকের সংখ্যা ৩,০০০ এর আশেপাশেই হবে।

মোটকথা, আপনি যত টাকা খরচ করবেন রিচ/এনগেজমেন্ট তত বাড়বে। এক্ষেত্রে দিন বাড়ানোতে তেমন কিছু হেরফের হবে না। বাজেট বৃদ্ধি আপনার ফলাফল বাড়াবে, দিন নয়।

কি কি ধরনের ব্যাবসার এ্যাড ফেসবুকে দিতে পারবেন?

বুটিক শপ, অনলাইন গ্রোসারি শপ, ফটোগ্রাফি ও প্রায় সব ধরনের স্বাভাবিক ব্যাবসার এ্যাডই আপনি ফেসবুকে দিতে পারবেন। তবে আপনার এ্যাড বা এ্যাডের কনটেন্ট হতে হবে ফেববুকের রুলস্ ও পলিসির সাথে সাংঘর্ষিক নয় এমন।

আমরা নির্দিষ্ট ক’টি পণ্য, সেবা ও ব্যাবসা ব্যতীত প্রায় সব এ্যাডই আমরা দিয়ে থাকি। যে কয়েকটি বিশেষ ক্ষেত্রে আমরা সাধারণত এ্যাড দেই না সেগুলো নিচ তুলে ধরা হলো-
X পর্নোগ্রাফি সংশ্লিষ্ট যেকোন কিছু
X এডাল্ট প্রোডাক্ত/টয়
X অসৎ উদ্দেশ্য প্রণোদিত এ্যাড
X চকুরীর অফার
X আদম ব্যাবসা বা ম্যানপাওয়ার বিসনেস্
X কোন ব্যাক্তি বা ধর্মকে আক্রমণ তথা ঘৃণা-বিদ্বেষ ছড়িয়ে উসকানিমূলক এ্যাড
X এ্যাডটির উদ্দেশ্য যদি প্রতারণামূলক বলে অনুমিত হয়
X মেয়ের ছবি যুক্ত কোন পোস্ট বা ভিডিও বুস্ট দেওয়া হয় না

উপরে উল্লেখ করা হয়নি কিন্তু আমাদের পলিসির সাথে সাংঘর্ষিক এমন কোন ক্যাম্পেইনের আপত্তি যোগাযোগের সময় জানিয়ে দেয়া হবে।

ফেসবুকে এ্যাড দিতে চাইলে করণীয় কি?

ফেসবুকে আপনি যদি কোনও বিজ্ঞাপণ বা এ্যাড দিতে চান তবে প্রথমেই আপনার বা আপনার প্রতিষ্ঠানের একটি ফেসবুক পেইজ থাকতে হবে।

আমাদের মাধ্যমে এ্যাড দিতে চাইলে অবশ্যই আমাদের সাথে নিদ্বিধায় যোগাযোগ করুন। ডলার প্রতি 155 (অথবা যখন যে রেট থাাকে) টাকা হিসেবে আপনি যত টাকার এ্যাড দিতে চান সে হিসেবে দিতে হবে। এবং অগ্রিম পেমেন্ট করতে হবে। সেক্ষেত্রে এ্যাড শেষ হয়ে যাওয়ার পরও যদি টাকা বেঁচে যায় তবে তা রিফান্ড করা হবে। আর ফেসবুক পেইজের এ্যাড দেয়ার জন্য আমাদেরকে আপনার পেইজের এডিটর করে দিতে হবে।

ফেসবুকে একটি এ্যাড দিলে সাধারণত কতদিন চলবে?

আপনি যখন ফেসবুকে কোনও একটি এ্যাড দিবেন, সেই এ্যাডটি ঠিক কতদিন চলবে সেটা পুরোপুরি আপনার সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করে। আপনার এ্যাডের স্থায়ীত্ব আপনার বাজেট কত ডলার সেঅনুযায়ী হয়ে থাকে। ফেসবুকের যে কৃত্তিম বৃদ্ধিমত্তা বা AI আছে সেখানে একধরনের স্মার্ট এ্যালগোরিদম্ আছে যেটা আপনার আপানার বাজেটকে নিদিষ্ট ঐ সময়ের মধ্যেই খরচ করার চেষ্ট করে থাকে।

ধরুন আপনার প্রাথমিক বাজেট ১০০ ডলার, যা আপনি ২, ৪ বা ৫ দিনের মেয়াদে খরচ করতে চান। ফেসবুকের এ্যালগোরিদম চেষ্টা করবে ঐ নির্দিষ্ট দিনের মধ্যেই সম্পূর্ণ টাকাটা খরচ করতে। কিন্তু কোনও কারণে যদি বাজেটের টাকাটা নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে খরচ শেষ না হয় সেক্ষেত্রে বাড়তি টাকাটা থেকে যাবে যেটা আমরা আপনাকে ফিরিয়ে দিবো।

কিসের ভিত্তিতে আমরা ডলার রেট নির্ধারন করি?

আপনি হয়তোবা লক্ষ্য করবেন যে, নিয়মিত ডলার লেনদেনের রেটের চেয়ে আমরা কিছুটা বেশি চার্জ করছি! আপনার মনে এটা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপিত হওয়াটা স্বাভাবিক। আপনি কেন নিয়মিত ডলার রেটের চেয়ে বেশি পে করবেন?

আমরা একটি পেশাদার এ্যাড এজেন্সি, আমাদের ব্যাবসার লক্ষ্য ডলার বিক্রি নয়। আমরা আপনাকে যে সেবা দিবো সেটার বিনিময়ে কিছু প্রফিট নিবো যেখানে পুরোপুরি স্বচ্ছতা থাকবে। আমরা যে ডলার রেট বলি এটা শুধু ডলার রেট নয় বরং এখানে 15% ভ্যাট, প্রিপেইড এড একউন্ট চার্জ , আমাদের সার্ভিস চার্জ, মোবাইল ব্যাংকিং চার্জ সব কিছু হিসাব করে একটি রেট দেওয়া হয়।

সর্বনিম্ন কত টাকা খরচ করলে কত রিচ, লাইক বা ফ্যান হবে?

আপনি যদি একটা মিনিমাম এ্যামাউন্ট টাকার এ্যাড ফেসবুকে দিতে চান সেক্ষেত্রে কেমন লাইক পাবেন বা ফ্যান হবে সেটা হয়তো আপনার জানার আগ্রহ থাকতে পারে। আপনি যদি ব্যক্তিগতভাবে আর্থাৎ নিজে নিজেই ফেসবুকে এ্যাড দিতে চান তবে যেকোন এমাউন্টের টাকার এ্যাড দিতে পারবেন। তবে আমাদের মতো এজেন্সির সহযোগিতা নিয়ে এ্যাড দিতে হলে মিনিমাম বাজেটের বিষয়টা একেক এজেন্সির ক্ষেত্রে একেক রকম হতে পারে। যেমন ধরুন কোনো এসেন্সি হয়তো ৫০ ডলারের নিচে এ্যাড দেয় না, কোনোটা আবার মিনিমাম ২০ বা ১০ ডলার বাজেটেই এ্যাড দেয়।

আমরা প্রাথমিক ভাবে সর্বনিম্ন ১০ ডলার বাজেটে এ্যাড দিয়ে থাকি। আপনি যদি এই সর্বনিম্ন বাজেটে এ্যাড দেন তবে সেটা থেকে প্রকৃতপক্ষে কত ফ্যান বা লাইক আসবে সেটা সুনির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। আনুমানিক ভাবে হয়তো একটা ধারনা দেয় যায়।


টাকা পরিষোধের পর এ্যাড চালু হতে কেমন সময় লাগে?

এ্যাডের বাজেট অনুযায়ী পুরো টাকা পরিষোধের দিনই আমরা সাধারণত আপনার এ্যাডটি সাবমিট করে দেই। কোনও বিশেষ অবস্থার (অসুস্থতা, ইন্টারনেট সমস্যা, হলিডে বা অন্য জরুরী ব্যাপর) প্রেক্ষিতে সর্বোচ্চ ২৪ ঘন্টা সময় লাগতে পারে। আর আমরা সাবমিটের পর ফেসবুক কর্তৃপক্ষ এ্যাপ্রুভ করলেই এ্যাডটি লাইভ হয়ে যাবে অর্থাৎ এ্যাড চালু হবে। সাধারণত ৯০% এ্যাডই সাবমিট করার 3০ মিনিটের মধ্যেই এ্যাপ্রুভড হয়ে চলতে শুরু করে। তবে কিছু এ্যাড ক্ষেত্র বিশেষে ৭২ ঘন্টা সময় নিতে পারে।

Exit mobile version