হালাল কামাই pdf হযরত মুফতী মনসূরুল হক
মু‘আমালা যথাযথ হওয়া এটা পুরুষের জন্যও কর্তব্য, মহিলার জন্যও অর্থাৎ রিযিক ও সব রকম লেনদেন হালাল হওয়া।
যত কেনা-কাটা, ব্যবসা-বাণিজ্য যা আছে সব মু‘আমালাতের মধ্যে দাখিল। এক কথায় আমরা বলি, হালাল রিযিক।
এই হালাল রিযিকের ব্যাপারে তৎপর ও সাবধান হওয়া স্বামীর যেমন জরুরী, স্ত্রীরও তেমন জরুরী।
এটা বলতে পারবে না যে, স্বামী কোত্থেকে আনে, সেটা কি আমি বলতে পারি? এমনও হতে পারে যে, স্বামী মাসআলাই জানে না বা স্ত্রীকে এমন টাকা দিয়েছে, যা তার জন্য হালাল নয়।
দরকার হয় তার কাছ থেকে জিজ্ঞাস করে নিতে হবে। কারণ, সে হালাল তরীকায় উপার্জন করছে, না হারাম তরীকায়, তার তাহকীক প্রয়োজন।
কোন হারাম রিযিক দ্বারা যে রক্ত-গোশত হবে, এই রক্ত-গোশত জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।
কাজেই স্বামীর রিযিক যাতে হালাল আসে, এই দিকে স্ত্রীর খেয়াল রাখতে হবে এবং স্বামীকে বলে দিবে, খবরদার!
আপনি কখনো হারাম রিযিকের দিকে যাবেন না। আমরা যেভাবেই হোক, জাউ-রুটি খেয়ে থাকতে রাজী আছি, ছেঁড়া ফাটা কাপড় পরে থাকতে রাজী আছি, কিন্তু হারাম ভাবে পয়সা এনে আমাদেরকে পোছপাছে রাখার প্রয়োজন নেই।
অনেক মা-বোন বোঝে না। তারা স্বামীকে এত বাধ্য করে, এত চাপ সৃষ্টি করে যে, অবশেষে স্বামী নিরুপায় হয়ে হারাম ভাবে টাকা জোগাড়ের পন্থা খোঁজে।
যখন সে দেখে হালাল রিযিক দ্বারা জীবন বাসনা পূরণ করা যাচ্ছে না, তখন সে নাজায়েয তরীকায় পয়সা কামানো শুরু করে।
খবরদার! এটা একটা হক।
আমাদের সাইটের আরো বাংলা দ্বীনী কিতাব পড়তে এ লিংকে যান: বাংলা কিতাব
শাইখুল হাদীস মুফতী মনসূরুল হক দা.বা. এর বয়ান এবং সমস্ত কিতাব, প্রবন্ধ, মালফুযাত একসাথে ১টি অ্যাপে পেতে ইসলামী যিন্দেগী অ্যাপটি আপনার মোবাইলে ইন্সটল করুন।




