জাগ্রত কাশ্মীর, দুর্গাপদ তরফদার রচিত
ভুমিকা
কাশ্মীরের মুক্তি-আন্দোলন একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। ভারতবর্ষের জাতীয় মুক্তি-আন্দোলনের সঙ্গে তার গভীর যোগাযোগ রয়েছে।
কাশ্মীরের মুক্তিকামী নরনারীর সঙ্গে ভারতবাসীর এই ঐক্যের কথা জানা আজ প্রত্যেক দেশভক্তের কর্তব্য।
কাশ্মীরের মুক্তি-আন্দোলনের তাৎপর্য এই যে, কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ ‘কুইট ইন্ডিয়া’ বলে ভারতবর্ষকে বৃটিশ শাসন ও শোষণ (?) মুক্ত করবেন বলে যে শপথ নিয়েছিলেন, কাশ্মীরের মুক্তিকামী জনগণের জমায়েৎ ন্যাশনাল কনফারেন্স ।
সেই আন্দোলনকে আরও এক কদম বাড়িয়ে নিয়ে বলেছিলেন যে, শুধু বৃটিশই ভারত ছাড়বে না, তার ছত্রচ্ছায়া-তলে পুষ্ট দেশীয় রাজ্যের শোষণকারী দেশীয় রাজা-মহারাজারাও ক্ষমতার আসন থেকে বিতাড়িত হবে।
শুধু তাই নয়, বিংশ শতাব্দীর শোষিত মানুষের মুক্তি-আন্দোলনের মর্ম কথা-অর্থাৎ সমাজে ধনী-নির্ধনের কৃত্রিম ব্যবধানের অবসান – এই আদর্শকেও নিজেদের আদর্শ বলে ঘোষণা করেছিলেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতৃবৃন্দ।
বর্তমান কাশ্মীরের সব কিছু মিলিয়ে প্রতিক্রিয়াশীল শক্তিগুলির বিরুদ্ধে আবার এক সংগ্রামের ক্ষেত্র প্রস্তুত হচ্ছে।
এই সংগ্রামের মধ্য দিয়েই সেখ আবদুল্লার নেতৃত্বের চরম পরীক্ষা হবে।
কাশ্মীরের জন্গণের এই প্রাণবন্ত সংগ্রামের কাহিনীকেই রূপ দেবার যথাসাধ্য চেষ্টা করা হয়েছে এই বইয়ের মধ্যে।
পাঠককে মনে রাখতে হবে, বইটি ঐতিহাসিক গবেষণা নয়, ঘটনা পরম্পরার বিবরণী মাত্র। সেই কাজে কতখানি সফল হয়েছি সে বিচারের ভার পাঠকদের উপরেই ছেড়ে দিচ্ছি।
খ্যাতনামা ফটোগ্রাফার শ্রীসুনীল জানার ‘ন্যাশনাল কনফারেন্সের সংগ্রামের প্রতীক- ছবিটি ।
তরুন শিল্পী শ্রীচিত্ত করের স্কেচগুলি বক্তব্য প্রকাশে সাহায্য করেছে। প্রচ্ছদপটটী একে দিয়েছেন শ্রীযুক্ত দেবব্রত রা চৌধুরী।
গত দুই বৎরের বহু বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে এই পুস্তকের প্রকাশ আজ সম্ভব হলো। ফলে ভুলত্রুটি হয়ত অনেক রয়ে গেছে।
এই বিপর্যয়ের ভেতরে কাজ করবার সময় যিনি যতটুকু যেভাবে সাহায্য করেছেন তা আন্তরিকতার সঙ্গে স্বীকার করে তাঁদের সকলকেই কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ….
কাশ্মীর সম্পর্কে আরো জানার জন্য পড়ুন: কাশ্মীর ইতিহাস ও রাজনীতি:
ফেসবুকে আমাদের পেইজ ভিজিট করুন: https://web.facebook.com/Kitab-bhubon
Reviews
There are no reviews yet.