নবীজীর নামাজ pdf
শাইখ মুহাম্মাদ ইলিয়াস ফয়সাল
নামায ঈমানের মানদন্ড। ইসলামের স্তম্ভ ও নিদর্শন। আর কালেমার পরে মুসলমানের সবচেয়ে বড় পরিচয়। খুশু-খুযুর সঙ্গে সঠিক পদ্ধতিতে নামায আদায় করা প্রত্যেক মুসলিমের অবশ্য কর্তব্য।
নামাযের বিধান যেমন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মাধ্যমে এসেছে তদ্রূপ তার নিয়ম-পদ্ধতিও তিনিই উম্মতকে শিখিয়েছেন।
দ্বীন ও শরীয়তের ইলম অর্জনের তিনিই একমাত্র সূত্র।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে নামাযের পদ্ধতি সর্বপ্রথম শিখেছেন সাহাবায়ে কেরাম।
নবীজী তাদেরকে মৌখিকভাবেও শিখিয়েছেন এবং নিয়মিত তাদেরকে নিয়ে নামায আদায় করেছেন। তাঁর ইরশাদ-
صلوا كما رأيتموني أصلي
‘তোমরা সেভাবেই নামায আদায় কর যেভাবে আমাকে আদায় করতে দেখ।’
এরপর সাহাবায়ে কেরাম থেকে তাবেয়ীন, তাবেয়ীন থেকে তাবে তাবেয়ীন, এভাবে প্রত্যেক উত্তর প্রজন্ম পূর্ববর্তীদের কাছ থেকে তা গ্রহণ করেছে এবং কিয়ামত পর্যন্ত এই ধারাবাহিকতা চলমান থাকবে ইনশাআল্লাহ।
দুই.
রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অনেক সাহাবী তাঁর সঙ্গে মদীনাতেই অবস্থান করতেন।
কিছু সাহাবী ছিলেন, যারা নিজ অঞ্চলে ইসলাম গ্রহণের পর এক দুই বার মদীনায় নবীজীর সাহচর্যে এসেছেন এবং কিছুদিন অবস্থান করে নিজ এলাকায় ফিরে গিয়েছেন।
বলাবাহুল্য যে, এই আগন্তুক সাহাবীরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আমল অধিক সময় প্রত্যক্ষ করার এবং সূক্ষ্মভাবে পর্যবেক্ষণ করার সুযোগ পাননি এবং তারা দ্বীনের বহু বিষয়ের; বরং অধিকাংশ বিষয়ের জ্ঞান সরাসরি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে লাভ করেননি।
এদিকে রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জীবদ্দশায় শরীয়তের বিধি-বিধান মানসূখ বা রহিত হওয়ার ধারাও চলমান ছিল।
এজন্য এটা খুবই স্বাভাবিক যে, এই সাহাবীরা কোনো বিধান বা পদ্ধতি প্রত্যক্ষ করেছেন, পরে তা মানসূখ হয়ে গিয়েছে, কিন্তু তাদের পক্ষে সেটা জানার সুযোগ হয়নি।
অথচ মদীনার সাহাবীরা খুব সহজেই সে সম্পর্কে অবগত হয়ে যেতেন।
আরো বাংলা দ্বীনী কিতাব পড়ুন: বাংলা দ্বীনী কিতাব
আমাদের ফেসবুক পেইজ ভিজিট করুন: kitab bhubon
কাওসার শেখ –
প্রত্যেক মুসলমানের উপর সালাত পড়া ফরজ।তাই প্রত্যেককেই সালাত শিখতে হয়ে।আমার মনে হয়ে এ-ই বইটি সালাত শিখতে সকলকে সাহায্য করবে,ইনশাআল্লা।